এলার্জির সবচেয়ে ভালো ঔষধ – এলার্জির ঔষধ এর নাম  ২০২৪

আমাদের মানব দেহের অন্যতম একটি  রোগ হচ্ছে চুলকানি। এই রোগটি সাধারণত আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনকে অস্বাভাবিক করে তোলে। বাংলাদেশের  প্রত্যেক মানুষেরই এলার্জি বা চুলকানি রয়েছে। এই এলার্জি বা  চুলকানি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য অনেকেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখিয়ে থাকেন। আবার অনেকেই ডাক্তার দেখানোর আগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে চান।

তাই তারা বিভিন্ন ফার্মেসিতে বা ইন্টারনেট থেকে এলার্জি ওষুধের নাম কি তা জানতে চায়। এলার্জি রোগের সাধারণত দুই ধরনের ঔষধ হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে এন্টিহিস্টামাইন অপরটি হচ্ছে স্টেরয়েড। তবে আপনার জন্য কোন ধরনের ওষুধটি কার্যকরী তা অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক গ্রহণ করা উচিত।

যেহেতু আপনি প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে এ সকল অ্যালার্জি ঔষধ বা চুলকানি ওষুধের নাম জানতে চাচ্ছেন। তাই আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে কিছু প্রাথমিক ওষুধের নাম শেয়ার করব। এর পাশাপাশি আপনি কিভাবে এই চুলকানিগুলো থেকে মুক্তি পেতে পারেন তার কিছু কার্যকরী টিপস শেয়ার করব। সুতরাং চিরতরে আপনার শরীর থেকে এলার্জি দূর করার জন্য অবশ্যই এই পোস্টটি আপনার জন্য দরকারী।

এলার্জির ঔষধ এর নাম

এলার্জি ঔষধগুলি সাধারণত এন্টিহিস্টামাইন নামে পরিচিত। এগুলি শরীরের হিস্টামাইন নামক একটি রাসায়নিক পদার্থকে ব্লক করে কাজ করে। হিস্টামাইন হল একটি প্রদাহজনক রাসায়নিক যা এলার্জি প্রতিক্রিয়াগুলির জন্য দায়ী। এন্টিহিস্টামাইনগুলি নাক বন্ধ, চোখ জল, হাঁচি, এবং চুলকানি সহ এলার্জি লক্ষণগুলি উপশম করতে সাহায্য করে।

বর্তমান বাজারে এলার্জি ঔষধগুলি বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়, যেমন ট্যাবলেট, সিরাপ, স্প্রে, এবং ইনজেকশন। তারা দ্রুত-অভিনয়কারী বা দীর্ঘ-অভিনয়কারী হতে পারে। এন্টিহিস্টামাইন ছাড়াও বাজারে এলার্জি উপশমনের জন্য স্টেরয়েড জাতীয় বিভিন্ন ওষুধ পাওয়া যায়। নিচের অংশ হতে জনপ্রিয় এবং কার্যকরী কিছু চুলকানি ঔষধের নাম জেনে নিন।

Acitrin (এসিট্রিন – এসিআই)

Alatrol (এ্যালাট্রোল – স্কয়ার)

Atrizin (এট্রিজিন – বেক্সিমকো)

Cetizin (সেটিজিন – একমি)

Cetrin (সেট্রিন – ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল)

Fenadin (ফেনাডিন – রেনাটা)

Fenofex (ফেনোফেক্স – ইনসেপ্টা)

Fexo (ফেক্সো – স্কয়ার)

Fexofast (ফেক্সোফাস্ট – ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল)

Alaron (এসিআই)

ত্বকের এলার্জির ঔষধ

এলার্জি একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এলার্জির লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে হাঁচি, সর্দি, চোখের জল, নাক বন্ধ, ফুসকুড়ি, এবং চুলকানি। এলার্জির চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা হয়। সকল এলার্জিগুলোর মধ্যে ত্বকের এলার্জি সবচেয়ে বেশি বির*ক্তিকর। ত্বকের এলার্জি নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ পাওয়া যায়।

এলার্জির চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধগুলিকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়:

এন্টিহিস্টামাইন: এন্টিহিস্টামাইন হল এলার্জির লক্ষণগুলির জন্য দায়ী হিস্টামাইন নামক রাসায়নিক পদার্থকে ব্লক করে কাজ করে। এন্টিহিস্টামাইন ঔষধগুলি ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সিরাপ, এবং ইনজেকশন আকারে পাওয়া যায়।

স্টেরয়েড:   শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে কাজ করে স্টেরয়েড। স্টেরয়েড ঔষধগুলি হল ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সিরাপ, ইনজেকশন, এবং নাকের স্প্রে আকারে পাওয়া যায়।

র*ক্তে এলার্জির ঔষধ 

র*ক্তে এলার্জি হল একটি গুরুতর অবস্থা যা শরীরের র*ক্তের কোষগুলিতে প্রতিক্রিয়া করে। এটি অ্যানাফিল্যাক্সিস নামে পরিচিত একটি জীবন-হুমকির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। র*ক্তে এলার্জির চিকিৎসার জন্য অ্যাড্রেনালিন ইনজেকশন প্রয়োজন। অ্যাড্রেনালিন হল একটি হরমোন যা শরীরের প্রতিক্রিয়াগুলিকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি হাঁপানি, এ্যাজমা, এবং অ্যানাফিল্যাক্সিস সহ বিভিন্ন অবস্থার চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।

ঠান্ডা এলার্জির ঔষধ নাম

ঠান্ডা এলার্জি বা অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হলো একটি সাধারণ সমস্যা। এটি নাকের ভেতরে প্রদাহের ফলে হয়। এলার্জিজনিত কারণে নাকের ভেতরে হিস্টামিন নামক রাসায়নিক পদার্থের ক্ষরণ হয়। এই হিস্টামিনের কারণে  হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক চুলকানো ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়।

১। সেটিরিজিন (সিট্রিন, সেটোরিন, সেটিজিন),

২। লোরাটাডিন (ক্লোরিন, অ্যালারাজ, লোরাটাডিন),

৩। ফেক্সোফেনাডিন (ফ্যাক্সোফেড্রাম, অ্যালারিক্স, ফেক্সোফেনাডিন)

মুখের এলার্জি ঔষধ এর নাম

মুখের এলার্জি হলো একটি  সমস্যা। মুখের ভেতরে এলার্জি হলে তা বেশ অস্বস্তিকর হতে পারে। মুখের এলার্জির ফলে মুখ চুলকাতে পারে,  ফুলে যেতে পারে, এবং ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও, মুখের ভেতরে ফোস্কা বা ঘা হতে পারে।

এন্টিহিস্টামাইন: সেটিরিজিন (সিট্রিন, সেটোরিন, সেটিজিন), লোরাটাডিন (ক্লোরিন, অ্যালারাজ, লোরাটাডিন), ফেক্সোফেনাডিন (ফ্যাক্সোফেড্রাম, অ্যালারিক্স, ফেক্সোফেনাডিন)

স্টেরয়েড মৌখিক ট্যাবলেট: বেক্লোমেটাসন (বেকনাজ), ফ্লুটিক্যাসোন (ফ্লুকোনেজ)

স্টেরয়েড মুখের স্প্রে: ফ্লুটিকাসন (ফ্লুকোনেজ), মোমেটাসন (নাসারিন), বেক্লোমেটাসন (বেকনাজ)

নাকের এলার্জির ঔষধের নাম

বিশেষ করে শীতকালে নাকের এলার্জি বেশি দেখা যায়। নাকের এলার্জির ফলে নাক চুলকানো, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, হাঁচি, মাথাব্যথা, এবং চোখ দিয়ে পানি পড়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নাকের কিছু স্প্রে পাওয়া যায়। যে স্প্রেগুলো নাকে ব্যবহার করলে এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এর পাশাপাশি কিছু ঔষধ বা মেডিসিন সেবন করা যেতে পারে।

স্টেরয়েড নাকের স্প্রে: ফ্লুটিকাসন (ফ্লুকোনেজ),  বেক্লোমেটাসন (বেকনাজ)

শেষ কথা

এলার্জি একটি সাধারণ সমস্যা। তবে, এটি দীর্ঘস্থায়ী হলে বা তীব্র হলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তার আপনার অবস্থার ধরন অনুযায়ী আপনার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারবেন। আজকের এই পোস্টে আমি আপনার সাথে এলার্জির ঔষধ এর নাম বা কি ওষুধ সেবন করলে শরীরের চুলকানি কমবে তা জানানোর চেষ্টা করেছিলাম। আশা করি ইতিমধ্যে আপনি ওষুধ গুলোর নাম জানতে পেরেছেন। তবে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করা ইত্যাদি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

Leave a Comment